সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি::
শনিবার মধ্যরাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এভাবে টানা বৃষ্টি হলে পাহাড় ধসের পাশাপাশি যেকোনও সময় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা।
এদিকে রবিবার সকালে পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার। চলতি বছরেও গড়ে উঠেছে আরও নতুন নতুন বসতি। ফলে গত বছরের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
জেলা তথ্য অফিস থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালে জেলা সদরে তিনজন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচজন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় দু’জন, ২০১২ সালে লামা উপজেলায় ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন, ২০১৫ সালে লামায় চারজন, সিদ্দিকনগরে একজন ও সদরের বনরূপা পাড়ায় দু’জন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ জুন সদরের কালাঘাটায় সাতজন ও রুমা সড়কে ২৩ জুলাই পাঁচজন পাহাড় ধসে মারা গেছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি শুরুর পরপরই সকাল থেকে উপজেলার প্রত্যেক ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সবাইকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত।’ প্রত্যেক উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।